মিলেমিশে এক স্বামীর সংসার করবে আপন দুই বোন!

বিচিত্র

শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন দুলাভাই। এ বিয়েতে আপত্তি নেই বোনের। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই বোন মিলেমিশে এক স্বামীর সংসার করবে।

এ ঘটনাটি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে জেলাজুড়ে।

জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া এলাকার মৃত মাস্টার কেদারনাথ গাইনের ছেলে সুজিত গাইন। তিনি পেশায় একজন ডেকোরেটরের ব্যবসায়ী। ৫ বছর আগে একই উপজেলার ঘোপেরখাল গ্রামের কালিপদ সিকদারের মেয়ে রূপালী গাইনকে বিয়ে করেন সুজিত। তাদের ঘরে প্রথম মেয়ে সন্তানের বয়স ৪ বছর এবং দ্বিতীয় ছেলে সন্তানের বয়স ২ বছর। সুজিতের বাড়িতেই থেকে পড়াশোনা করতো রূপালীর ছোট বোন স্বর্ণালী। বাড়িতে থাকার সুবাদে সুজিতের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুজিতের। প্রেমের এই খবর রূপালী জানতে পেরে তার ছোট বোন স্বর্ণালীকে বাড়িতে দিয়ে আসেন।
এরপর স্বর্ণালীকে খুঁজে না পেয়ে স্বর্ণালীর বাবা কালিপদ সিকদার জামাই সুজিত গাইনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

রূপালী গাইনের ভাই জয়দেব সিকদার জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জামাইবাবু আমার বড় দিদির সাথে বিয়ে থাকা সত্ত্বেও আমার ছোট বোনকে বিয়ে করেছে। রূপালী দিদির বাড়িতে স্বর্ণালীকে পড়াশোনার স্বার্থে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে এমনটা করেছে। তবে রূপালী দিদি বিষয়টি মেনে নিয়ে ছোট বোনের সাথে একত্রে সংসার করতে রাজি হয়েছে।

সুজিত গাইনের প্রথম স্ত্রী রূপালী গাইন জানিয়েছেন, স্বর্ণালী তো আমারই ছোট বোন। সমস্যা নাই, আমি বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছি। যেহেতু তারা বিয়ে করে নিয়েছে, সেক্ষেত্রে এখন আমরা ২ বোন একসাথেই সংসার করবো।

এ বিষয়ে সুজিত গাইনের কাকা গজেন গাইন জানান, একটা বিষয় হয়ে গেছে। এখন করার মতো কিছু নাই। তবে আমরা জেনেছি তারা বিয়ে করেছে। তাদের সাথে আমরা পারিবারিক ভাবে কথাও বলেছি। কয়েকদিন পরে দিনক্ষণ দেখে তাদের ৪ হাত আমরা পারিবারিক ভাবেই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এক করে দিব।

এ ব্যাপারে সুজিত গাইন জানান, হঠাৎ করেই ভালো লাগা থেকেই এই বিয়ে করেছি। তবে আমার প্রথম স্ত্রী মেনে নিয়েছে বিষয়টি। এখন আমি দুই স্ত্রীকে নিয়ে একসাথে ঘর করবো।

এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানায়, স্বর্ণালীর বাবা প্রথমে তাকে খুঁজে না পেয়ে নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। পরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সুজিত ও স্বর্ণালীকে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি। তার অভিযোগ তুলে নিয়েছে। সুজিতের প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি মেনে নিয়েছে। তাদের কোনো অভিযোগ না থাকায় তারা থানায় আর মামলা করে নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *