জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনারা হামলা শুরুর পর থেকে ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে দেশটির ৫০ হাজারের বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদের অধিকাংশই পার্শ্ববর্তী পোল্যান্ড এবং মলদোভায় আশ্রয় নিয়েছেন।
হাইকমিশনার ফিলিপ্পো এক টুইট বার্তায় আরও লিখেছেন, সীমান্ত খোলা রেখে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য দেশগুলোর সরকার ও জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা বৃহস্পতিবার এক বার্তায় জানিয়েছিল, ইউক্রেনের অন্তত ১ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ ভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে রাশিয়া। দ্বিতীয় দিনেই রাশিয়ার সেনারা দেশটির রাজধানী কিয়েভে পৌঁছে গেছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে হোস্টোমেল বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি দখল করতে রাশিয়ান ২০০ হেলিকপ্টার ও একটি স্থল বাহিনী ব্যবহার করেছে মস্কো। পশ্চিমা বিশ্ব থেকে কিয়েভকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এ অবস্থায় মলোটভ ককটেল বা পেট্রল বোমা তৈরি করে লড়াইয়ে অংশ নিতে স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। অন্যদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে তারা।