মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজকে মারধরের ঘটনায় সলিমুল্লাহ মুসলিম (এস এম) হলের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। আজ দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা এস এম হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আহমেদ তাহসান ও মাহবুবুল ইসলাম আপন। প্রথমে শাহবাগ থানা পুলিশে দেয়া হলেও পরে নিরাপত্তার কারণে তাদের রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে সকালে ৩জন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে তাহসান। পরে ওই ছাত্রীরা মুহসীন হলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজের কাছে সাহায্য চায়। মাসুদ পারভেজ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের অনুসারী। মাসুদ ক্যাম্পাসের মিলন চত্বরে তাহসানকে পেয়ে উত্ত্যক্তার বিষয়ে জানতে চায়। এসময় তাদের দুইজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায় তাহসান এস এম হলের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আপনকে বিষয়টি জানায়। আপন হল থেকে ৩০ থেকে ৪০ জন সশস্ত্র ছাত্রলীগ কর্মী নিয়ে এসে তাহসানসহ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে অবস্থানকারী পারভেজকে বেদড়ক মারধর করে। এতে পারভেজের মুখ, নাক ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে পারভেজ হলে জানালে মুহসীন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও সশস্ত্র অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা বিষয়টি মীমাংসার জন্য আসে। কিন্তু মীমাংসা করতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম এম আমজাদের কাছে তাদের তিনজনকে নিয়ে যায়। মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কোন মীমাংসাংয় যেতে রাজী না হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বাধ্য হয়ে আপন ও তাহসানকে প্রক্টরের সহায়তায় শাহবাগ থানা পুলিশে হস্তান্তর করে। পরে শাহবাগ থানা নিরাপত্তার কারণে দেখিয়ে তাদের রমনা থানায় হস্তান্তর করে। সন্ধ্যায় তাদের ছাড়িয়ে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ রমনা থানায় যায় বলে সূত্র জানায়। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদ বলেন, ছাত্রলীগের এক নেতাকে অভিযুক্ত দুই জন ব্যাপক মারধর করে। এ ঘটনায় দুই হলের মধ্যে মারামারির উপক্রম হলে ছাত্রলীগের সহায়তায় তাদের পুলিশে দেয়া হয়েছে। পরে মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে এস এম হলে আমীনুল হোসেন (১ম বর্ষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান) নামে এক শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে ব্যাপক মারধর করে হল শাখা ছাত্রলীগ।