ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া দেশটির আরও দুটি স্থানে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। মস্কোর হামলার আশঙ্কার মধ্যেই রাজধানীসহ তিনটি স্থানে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
বিবিসির সাংবাদিক পল অ্যাডামস ইউক্রেনের কিয়েভে থেকে জানান, কিছুক্ষণ আগে সেখানে তিনি পাঁচ থেকে ছয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
তিনি নিশ্চিত করেছেন, তারা রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি দোনেস্ক ও ক্রামতোর্স্কে বিকট শব্দ শুনেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দেওয়া ভাষণে ইউরোপে যে কোনো সময় রাশিয়া বড় ধরনের একটি যুদ্ধ শুরু করতে পারে বলে সতর্ক করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার নাগরিকদের এ যুদ্ধের বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পুতিনকে ফোন করেও কথা বলতে পারেননি তিনি।
ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে তাকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু এর উত্তরে নীরবতা ছাড়া কিছুই পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়া প্রায় দুই লাখ সেনা ও হাজার হাজার সামরিক যানবাহন মোতায়েন করে ফেলেছে।
রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় ইউক্রেন প্রস্তুত জানিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া যদি হামলা করে, তারা যদি আমাদের এই দেশ, আমাদের স্বাধীনতা, সাধারণ মানুষ ও শিশুদের জীবন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, তা হলে আমরা নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করব।’
রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করার অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনারা হামলা করলে পিঠ নয়, বরং আমাদের মুখই দেখতে পাবেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে রুশ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর পরই সীমান্তে সেনা পাঠানোর কথা জানায় রাশিয়া। এর মধ্যে জেলেনস্কি এ ভাষণ দিলেন।