ঢাকা: জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মানিত করতে একুশে পদক প্রদান দেশে মেধা ও মনন চর্চার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
‘একুশে পদক-২০২২’ প্রদান উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি, শিল্প, সমাজ, গণমাধ্যম প্রভৃতি ক্ষেত্রে নিবেদিতপ্রাণ যেসব খ্যাতিমান বিশিষ্ট নাগরিক ‘একুশে পদক ২০২২’ পেয়েছেন, তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভাষা শহিদদের গৌরবদীপ্ত আত্মত্যাগের স্মৃতিবাহী দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্নক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবছর একুশে পদক প্রদান করে আসছে। সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনেরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে দেশে মেধা ও মনন চর্চার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে। ’
তিনি বলেন, ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নাগরিকরা দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সংস্কৃতি বিকাশে তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা ও সাধনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে দেবেন -এ প্রত্যাশা করি। ’
ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহান ভাষা আন্দোলন বাঙালির জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। ’
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ সংগ্রামে অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’-এর নেতৃত্ব দেন।