বিশিষ্ট আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সরকার এবং আমরা একত্রিত হয়ে গেছি। ফলে সার্চ কমিটি বলুন আর অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি বলুন কেউ নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে বের করতে পারবে না। সার্চ কমিটিতে নিরপেক্ষ কোনো ব্যক্তি নেই।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক সমাজ আয়োজিত ‘বর্তমান জাতীয় সংকট এবং সমাধানের নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে ড. কামাল এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশ আজ সর্বগ্রাসী সংকটে নিমজ্জিত। রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আজ ভগ্নদশা। জনগণের দাবি যখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন করা, ঠিক তখন সরকার দেশ ও জাতির বিবেককে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তড়িঘড়ি করে আইন প্রণয়ন করেছে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য। যা নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন বলে প্রচার করা জাতির সঙ্গে তামাশা ও এক মহাপ্রহসনমাত্র।
ড. কামাল হোসেন বলেন, রাজনীতি অর্থনীতি শিক্ষা সামাজিক সংস্কৃতি অস্থিরতা। স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার, জানমালের নিরাপত্তা অধিকারসহ মানুষের মৌলিক মানবাধিকারগুলো প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে। শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গুম, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ফলে সাধারণ নাগরিক আজ দিশেহারা।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এবং সঠিক বৈদেশিক নীতির অভাব ও দুর্নীতির জন্য আমাদের শ্রমবাজার ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসছে। ড. কামাল বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কর্তৃত্ববাদী ও অগণতান্ত্রিক শাসনের অবসান চায়। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য এবং জনগণ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়।
আলোচনায় আরও অংশ নেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বেলার প্রধান নিবার্হী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।