বাবার লাশ দাফনে সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা ইস্যুতে সন্তানদের বাধা, ৯৯৯ এ ফোন

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


দাগনভূঞা (ফেনী): বাবা মারা যাওয়ার পর ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি। এর মধ্যেই সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা ইস্যুতে সন্তানদের গোলযোগ বাধে। এর জেরেই বাবার লাশ দাফনে বাধা দেন বঞ্চিত সন্তানরা। পরে ৯৯৯-এ ফোন করে মৃত্যুর ১৪ ঘণ্টা পর ফেনীর দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমামের হস্তক্ষেপে মৃতের লাশ দাফন করা হয়। মৃত ওই বাবার নাম হাজী আবু আহমেদ মাস্টার (৯০)।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দাগনভূঞা পৌর শহরের আমানউল্যাহপুর গ্রামের হাসপাতাল রোডস্থ জননী ম্যানশনে বাধর্ক্যজনিত কারণে ওই বাবা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি উপজেলার উদরাজপুর গ্রামের মনু হাজী বাড়ীর বাসিন্দা এবং ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস্টার আবু আহমেদের সাত ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তার মধ্যে ছেলে নেছার হাফেজ, সোহেল, কাউছার, হেলাল ও দুই মেয়ে জেসমিন আক্তার এবং গোলশান আরা কে সব সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে মরহুমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম, ছেলে ইমাম উদ্দীন পারভেজ, এনায়েত উল্যাহ ফরহাদ ও নেয়ামত উল্যাহকে সমুদয় সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করে দিয়ে দেন।

জীবদ্দশায় মাস্টার আবু আহমেদ কোন সম্পত্তি না দেওয়ায় তার মৃত্যুর পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তার বঞ্চিত সন্তানেরা। তারা সম্পত্তির বিষয় সামাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের বাবা আবু আহমেদের লাশ দাফনে বাধা দেন। এর একপর্যায়ে ভাই-বোনদের মধ্যে সম্পত্তির বিষয় নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ কল করলে সেখান থেকে দাগনভূঞা থানাকে অবহিত করা হয়।

খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নিহতের সন্তানদের নিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসান ইমাম বৈঠকে বসে সম্পত্তির বিষয়টি পরবর্তী সময়ে সামাধান করার আশ্বাস দেন। এরপর মরহুমের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম। তিনি বলেন, ‘লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। সম্পত্তির বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে সবাইকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সামাধান করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *