পবার নিখোঁজ মেয়রের লাশ আজিমপুর গোরস্থানে

Slider গ্রাম বাংলা

66181_lash

দুই মাস ধরে নিখোঁজ রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার মেয়র আব্দুল গফুরের লাশ ঢাকার আজিমপুর গোরস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের কাছে দ্বিতীয় দফার রিমান্ডে জান্নাতুন সালমা মিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পবা থানা পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে মেয়রের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, দুপুরে পবা থানা পুলিশের একটি দল আজিমপুর গোরস্থানে পৌঁছায়। বিকেল ৫টার দিকে নিখোঁজ মেয়র আব্দুল গফুরের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজিমপুর গোরস্থানের রেজিস্ট্রি খাতায় মেয়র গফুরের মিথ্যা পরিচয় দেয়া আছে। আর মৃত্যু ৩রা জানুয়ারি ও দাফন ৬ই জানুয়ারি উল্লেখ্য করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মিম স্বীকার করেন মেয়র আব্দুল গফুরকে তিনি হত্যা করেন। তবে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার সময় হত্যার কথা অস্বীকার করেন মীম। একই সঙ্গে কোথায়, কখন ও কিভাবে মেয়র গফুরকে খুন করা হয় এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হচ্ছিলেন না। এজন্য সোমবার তাকে আরো সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী লাশ উদ্ধারের জন্য মঙ্গলবার সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে আজিমপুর গোরস্থান থেকে মেয়র গফুরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ শে ডিসেম্বর ঢাকায় গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর নওহাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল গফুরকে গত ৬ই জানুয়ারি হত্যা করা হয়। পরে লাশ গুম করতে তা মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হয়। এরপর থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়রের মোবাইল ফোন থেকে পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের কাছে মোবাইলে ম্যাসেজ আসতে থাকে। কিন্তু ফোন দিলে পরক্ষণেই মেয়রের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এতে পরিবারের সবার মনে সন্দেহের দানা বাঁধতে থাকে। এরআগে ১৯ শে জানুয়ারি মেয়রের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা পারুল বাদী হয়ে পবা থানায় অপহরণের মামলা করেন। পরে থানায় দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে কথিত চিকিৎসক জান্নাতুন সালমা মীমকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। পরে ৩১ জানুয়ারি মীমের দুই বোন জান্নাতুন নাইম ও জান্নাতুন ফেরদৌসকে নওগাঁ ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *