চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (এফডিসি) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণের দ্বন্দ্বের আজও কোনো সুরাহা হয়নি। এ বিষয়ে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া রিটের রুল শুনানির দিন ফের পিছিয়েছে। শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে সোমবার চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে চেম্বারজজ আদালতের জারি করা স্থিতাবস্থাও বহাল রাখা হয়। সে হিসেবে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্যই থাকছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিপুণকে ১৩ ভোটে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ফল না মেনে নির্বাচনের সময় ‘ভোট কেনার’ অভিযোগ তুলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার।
এমনকি এ পদে পুনরায় ভোটের দাবিও তোলেন তিনি। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানের পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কী না- সে বিষয়ে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এফডিসিতে বসেন শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড।
অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।
নিপুণের আবেদনটি ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে ওই সময়ে দুই পক্ষকে (নিপুণ ও জায়েদ) স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। কিন্তু ধার্য তারিখে (১৩ ফেব্রুয়ারি) লিভ টু আপিল করার কথা জানান নিপুণের আইনজীবী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি শুনানির জন্য ছিল।
পরের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থাও বহাল রাখা হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে জারি করা রুল হাইকোর্টকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত।