খুলনা: ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসুন’ স্লোগান নিয়ে সুন্দরবন দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রতি বছরের মতো দিবসটি পালন করা হবে।
সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালিত হয়ে আসছে।
এ উপলক্ষে সুন্দরবন একাডেমির উদ্যোগে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর ও রাজধানী ঢাকার সুন্দরবনপ্রেমিদের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সুন্দরবনের জীববৈচিত্র রক্ষা এবং অনন্যসুন্দর প্রাকৃতিক এ সম্পদ সংরক্ষণে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সুন্দরবন একাডেমির আয়োজনে খুলনাসহ সুন্দরবনঘনিষ্ট জেলাসমূহে বেসরকারিভাবে সুন্দরবন দিবসের নানাবিধ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।
অতীতের ধারাবাহিকতায় ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় সুন্দরবন দিবসের ভার্চুয়াল সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠিতব্য ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করবেন সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। সঞ্চালনা করবেন সুন্দরবন একাডেমির উপদেষ্টা এবং রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন।
এবারের আলোচনা সভার মুখ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে ‘সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থান’।
সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বল্প পরিসরে সুন্দরবন দিবস পালন করা হবে। দেশের সামগ্রিক পরিবেশসহ উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ এবং সুন্দরবনের ওপর নির্ভর মানুষের জীবিকা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবনের অসাধারণ ভূমিকা প্রশ্নাতীত। এমনি বাস্তবতায় সুন্দরবনের প্রতি মমত্ববোধের জায়গা থেকে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুন্দরবন রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, প্রায় ৫০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৫০ প্রজাতির সরীসৃপ, ৩২০ প্রজাতির পাখি, ৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী এবং ৪০০ প্রজাতির মাছ। সুন্দরবনের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার পৃথিবী বিখ্যাত। এ ছাড়া রয়েছে চিত্রা ও মায়া হরিণ, বানর, বনবিড়াল, লিওপার্ড, শজারু ও বন্য শূকর। এখানে রয়েছে বিচিত্র সব পাখি। সুন্দরবনের সরীসৃপের মধ্যে রয়েছে কুমির, সাপ, টিকটিকিজাতীয় সরীসৃপ ইত্যাদি।
প্রতিনিয়ত বনখেকোদের আগ্রাসনের ফলে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন আজ হুমকির মুখে। সুন্দরবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ গোটা দেশের পরিবেশ।