এখন পর্যন্ত পৃথিবীর ৪৮৪ কোটিরও বেশি মানুষকে করোনাভাইরাসের অন্তত এক ডোজ টিকা দেয়া সম্পন্ন হয়েছে যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ। আর টিকার উভয় ডোজ বা টিকা নেয়া সম্পূর্ণ করেছেন বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশ মানুষ। অতিরিক্ত ডোজ বা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৩ শতাংশ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের টিকাদান কর্মসূচীর নিয়মিত যে হালনাগাদ জানাচ্ছে তা থেকেই এসব তথ্য (০৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) পাওয়া গেছে।
এতে দেখা গেছে, টিকাদানে বিশ্বে শীর্ষে অবস্থান করছে এশিয়ার দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির ৯৯ শতাংশ মানুষকেই অন্তত এক ডোজ টিকা দেয়া সম্পন্ন হয়েছে! উভয় ডোজ বা টিকা নেয়া সম্পূর্ণ করেছেন ৯৬ শতাংশ মানুষ! আর, অতিরিক্ত ডোজ বা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৪৬ শতাংশ মানুষ।
টিকাদানে শীর্ষ পাঁচে থাকা দেশগুলোর মধ্যে এরপরই রয়েছে ব্রুনেই, পর্তুগাল, কিউবা এবং চিলি। দেশগুলোতে ৯৩% থেকে ৯৪% মানুষকে অন্তত এক ডোজ টিকা দেয়া সম্পন্ন হয়েছে! শীর্ষ ১০ এ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ব্রুনেইয়ের সাথে আরো রয়েছে চীন (৭ম) এবং কম্বোডিয়া (৯ম)।
এছাড়া সিঙ্গাপুর (১১তম) এবং মালয়েশিয়াও (২৩ তম) সামনের সারিতে রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে টিকাদানে শীর্ষে অবস্থান করছে ভুটান (৩৯ তম)। দেশটির ৭৮% মানুষ অন্তত এক ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ পাঁচে এরপরই রয়েছে শ্রীলঙ্কা (৪২ তম) মালদ্বীপ (৪৯ তম) ভারত (৬৮ তম) এবং নেপাল (৮৮ তম)। দেশগুলোর যথাক্রমে ৭৭%, ৭৫%, ৭০% এবং ৫৯% মানুষ অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন।
টিকাদানে বিশ্বে ৯০ তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ৫৯% মানুষ এক ডোজ টিকা পেয়েছেন, যা নেপালের সমান। কিন্তু টিকার উভয় ডোজ বা টিকা নেয়া সম্পূর্ণ করেছেন, এই হিসেবে বাংলাদেশের (৩৭%) চেয়ে এগিয়ে রয়েছে নেপাল (৫০%)।
ওদিকে, দক্ষিণ এশিয়ায় টিকাদানে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। ১০৭ তম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের ৫১% মানুষ এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। অন্যদিকে তালেবান ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নাজুক অবস্থায় থাকা আফগানিস্তান টিকাদানেও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ১৬৬ তম অবস্থানে থাকা আফগানিস্তানের মাত্র ১২% মানুষ এক ডোজ টিকা পেয়েছেন।
আপনার মতামত দিন