চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ককের অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর মা রোববার অভিযুক্ত দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পটিয়া উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ফাজিলখাঁর হাট এলাকার ফেন্সি টেলিকম ও ষ্টুডিওর মালিক দিদারুল দৌলতপুর গ্রামের সামশুল আলমের ছেলে।
পটিয়া থানার ওসি রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী সমকালকে বলেন, স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত দিদারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের ২রা নভেম্বর স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে দিদারের ফেন্সি টেলিকম ও ষ্টুডিওতে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। ষ্টুডিও মালিক দিদারুল ওইদিন তাকে ফুসলিয়ে দোকানে বসিয়ে রাখেন।
সন্ধ্যায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে চন্দনাইশের একটি অজ্ঞাত স্থানে তাকে ধর্ষণ করেন দিদারুল। কৌশলে প্রায় তিন মাস তাকে দর্ষণ করেন দিদার। সর্বশেষ ধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় ওই শিশুকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে দৌলতপুর এলাকায় ফেলে যায় দিদার।
ওইদিন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন শিশুর বড় বোন। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়।