মহামারি করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩৪ জনেরই করোনার টিকা নেওয়া ছিল না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, টিকা না নেওয়ার হার ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ। মাত্র ৮৮ জন টিকা নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছিলেন ১৮ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন ৬৮ জন।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ রোধে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের পাশাপাশি টিকা গ্রহণের বিকল্প নেই। সরকারিভাবে সারাদেশে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করোনা টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে চলমান টিকাদান কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা এখনো টিকার আওতায় আসেনি (ভাসমান জনগোষ্ঠী, বস্তিবাসী, দোকানদারসহ অন্যরা) তাদের শিগগিরই টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।
দেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় পৌনে ১০ কোটি মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে, ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের লাগাম টানা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সারা দেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪২৫ জনে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে নতুন করে আরও ১৩ হাজার ১৫৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জনে।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ৪৫ হাজার ৯৩ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। এই ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭২১ জন। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৩৪ জন।
এর আগে, সোমবার (৩১ জানুয়ারি) করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এদিন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত শনাক্ত ১৩ হাজার ৫০১ জন।