‘নির্বাচন কমিশনার একটি চক্র, এটা জায়েদ খানের চক্র। তার সঙ্গে ছিল এফডিসির এমডিও।
তারা তিনজন মিলে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমার মনে হয় এ বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। ‘
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।
তিনি বলেন, পীরজাদা হারুন একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমি বলব, তিনি যে চাকরি করেন, তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
কাঞ্চন প্যানেলের এ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বলেন, পীরজাদা ও জায়েদ খানরা মিলে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। আমি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে বনানী থানায় জিডি করেছি।
মিশা-জায়েদ প্যানেল নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ করে নিপুণ বলেন, নিয়ম-কানুন কি শুধু কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের জন্য ছিল? মিশা-জায়েদ পরিষদের জন্য ছিল না? আমরা ব্যারিকেড দিয়ে ভেতরে অবস্থান নিয়েছিলাম, কিন্তু জায়েদ খান সেই ব্যারিকেডের ভেতরে আসেননি কেন? তিনি কেন ব্যারিকেডের বাইরে গিয়ে টাকা দিয়ে ভোট কিনলেন?
যোগ করে নিপুণ বলেন, নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কেনা হয়েছে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পুরো বাংলাদেশ তা দেখেছে। তাই এটি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শোভনীয় নয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাব।
এ সময় ইলিয়াস কাঞ্চন, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাইমন, জেসমিন, জাদু আজাদ, সীমান্তসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে পরাজিত হন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে ভোট পুনর্গণনার জন্য আপিল করেছিলেন নিপুণ। কিন্তু সেখানেও একই ফলাফল পায় আপিল কমিটি।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪২৮। ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। এর মধ্যে কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে ১০টি আর সাধারণ সম্পাদক পদে বাতিল হয় ২৬টি ভোট।
এবারের নির্বাচনে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি পদে ১৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পান ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন জায়েদ খান। নিপুণ পান ১৬৩ ভোট।