গাজীপুর: পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্বামীকে পাঁচ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক হয়েছেন স্ত্রী। লাশ পাশবর্তি নিটসেড ঘরের চালে ধাক্কা খেয়ে দুই বাসার ফাঁকে পড়ে যায়। । ঘটনাস্থলে রক্তমাখা ও একাধিক লোকের পায়ের চিহৃ থাকায় স্থানীয়দের ধারণা তাকে ছাদে হত্যা করে লাশ ফেলা হয়েছে। এই ঘটনায় স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার ভোররাতের মধ্যে যে কোন সময় ওই ঘটনা ঘটে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আনে।
নিহতের নাম হাজী মাসুদ রানা(৩০)।তিনি গাজীপুর শহরের ২৩৫ উত্তর ছায়াবীথীতে ৫তলা বাড়ির দোতলায় ভাড়ায় বসবাস করতেন। স্থায়ী বাড়ি গাজীপুর উপজেলার ভাওরাইদ গ্রামে। এই দম্পতির দুই সন্তান। ছেলে সোয়াদ(৯)ও মেয়ে মাদিহা(৬)।
স্থাণীয়রা জানান, মাসুদ রাণার গ্রামের বাড়িতে একাধিক বাড়ি ও মার্কেট আছে। স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের কারণে নিরাপদ থাকতে চলতি মাসের (ফেব্রুযারী) ২২তারিখ গাজীপুর শহরে ওই বাসায় ভাড়া উঠেন। প্রতিবেশীরা জানান, শুক্রবার রাত ১১টার পরও ওই ফ্ল্যাটে আলো দেখেছেন তারা। রাতে পুলিশের শব্দ শুনে তারা জানতে পারেন মাসুদ খুন হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের ধারণা, পরকীয়া প্রেমের জের ধরে একাধিক ব্যাক্তির অংশ গ্রহনে স্ত্রী শিরিন আক্তার তার স্বামী মাসুদ রাণাকে ছাদে হত্যার পর লাশ ফেলে দেয়। লাশটি পার্শবর্তি একতলা টিনসেড ঘরের চালে পরার পর আস্তে আস্তে দুই বাসার ফাঁকে পড়ে যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দেখা যায়, বাসার ছাদে অনেক অংশে রক্তমাখা। একাধিক লোকের পায়ের চিহৃ রয়েছে। ধাস্তাধস্তির আলামতও আছে। ঘটনার পর স্থানীয়রা ছাদে গিয়ে রক্তমাখা লাঠি ও এক জোড়া সেন্ডেল দেখতে পায়।
জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদশক(এসআই) ফারুক হোসেন জানান, লাশটি হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিঞ্জাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী শিরিন আক্তার(২৮) কে আটক করা হয়েছে।
নিহতের চাচা খবির উদ্দিন জানান, ওরা ক্লাশমেট ছিল। প্রেমের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে। সম্প্রতি তারা গ্রাম থেকে শহরে বাসা ভাড়া করে আসেন। কেন এই হত্যাকান্ড এ সম্পর্কে তিনি কিছু না বললেও খুনীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।