ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা’ ব্যানারে এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ন করছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, শাবিপ্রবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আজকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক, অভিভাবক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ছাত্র নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। তারপরও যদি ভিসির অপসারণ না হয়, আমরা লাগাতার কর্মসূচি পালন করব।
তিনি বলেন, শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা যে দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল সেটি শুধু তাদের নয়, দাবিটা সারাদেশের প্রত্যেকের। শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার বঞ্চিত। শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমরা আশ্বাস নয়, বাস্তবায়ন চাই।
আয়োজকরা জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।
শাহজাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনের ১৩তম দিনে ও অনশনের দীর্ঘ ১৬২ ঘণ্টার বেশি সময় পর বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের হাতে অনশন ভেঙেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত ২৮ শিক্ষার্থী। বুধবার সকালে সস্ত্রীক ক্যাম্পাসে গিয়ে পানি পান করিয়ে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ ৭ দিনের অনশন ভাঙান শাবিপ্রবির এই সাবেক শিক্ষক।
গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ ছাত্রী। আন্দোলনের এক পযায়ে হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
এরপর গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাকে মুক্ত করে। এতে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
গত ১৯ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শুরুতে ২৪ জন শিক্ষার্থী অনশনে অংশ নেন। পরে একজন পারিবারিক কারণে অনশন থেকে বাড়িতে চলে যান। এরপর ২৩ জানুয়ারি গণঅনশনের অংশ হিসেবে নতুন করে যোগ দেন আরও ৫ শিক্ষার্থী। ফলে শেষ পর্যন্ত অনশনে অংশ নেওয়া মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮ জনে। বুধবার শিক্ষার্থীদের সেই অনশন কর্মসূচির অবসান হয়।