পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বিএনপি প্রথম লবিস্ট নিয়োগ করেছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য। দেড় লাখ ডলার ব্যয়ে একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে এ জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এভাবে দেশের স্বার্থবিরোধী কাজের জন্য ৮টি প্রতিষ্ঠানকে লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। লবিস্টের জন্য ব্যয় করা অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে ওই সকল প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্রগুলো আমাদের কাছে রয়েছে। যা আমরা যথাযথভাবে তুলে ধরেছি। দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে এই অপতৎপরতা নিশ্চয়ই বিএনপি নেতা-কর্মীরাও সমর্থন করবেন না। কারণ তারা নিশ্চয়ই চাইবেন না দেশের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাক। বাংলাদেশের সাহায্য-সহযোগিতা বন্ধ হোক। তাই শীর্ষ কয়েকজন নেতার এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নিশ্চয়ই প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে যা যা করণীয়, তা করছে সরকার। দেশের মঙ্গলের জন্য, উন্নয়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববাসীর কাছে সত্য তুলে ধরা হচ্ছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র দেখানো হচ্ছে। এর ফলে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।’