করোনায় মৃতদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ টিকা নেননি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Slider জাতীয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের ৮৫ শতাংশ টিকা নেননি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে রোগী যারা আসছেন তাদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি এবং মারা মারা যাচ্ছেন তাদেরও ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি।’

মঙ্গলবার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘এরকম একটা পরিস্থিতির কারণে এক থেকে ৩২ শতাংশে উঠেছে সংক্রমণের হার। এটা খুবই আশঙ্কাজনক। সারাবিশ্বের সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে বাংলাদেশেও।’

মানুষের অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এসময় দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, বাসার বাইরে মানুষ সেভাবে মাস্ক পরে না। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ওমিক্রন মাইল্ড হওয়ায় আমরা যদি ইচ্ছামতো চলাফেরা করি তাহলে ক্ষতি হবে। আমাদের দেশ অনেক ভালো অবস্থায় আছে। আমাদের সমস্ত সূচকই ভালো আছে। আমরা যদি ফেল করি তাহলে সূচকগুলো ভালো থাকবে না।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘ওমিক্রন মাইল্ড হতে পারে কিন্তু তার সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ যখন বেশি হবে তখন মৃত্যু বেশি হবে।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট ২৮ হাজার ২৫৬ জনের মৃত্যু হলো।

একই সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৩৩ জনের। জুলাইয়ের পর এটিই একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে একদিনে ১৬ হাজার ২৩০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ নিয়ে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৭ জনে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৬৯৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪৯ হাজার ৪৯২টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের ৩২ হার দশমিক ৪০ শতাংশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে সরকারি যে হাসপাতাল আছে, সেগুলো ২৫ শতাংশ শয্যা ভরে গেছে। এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে বেডের চাহিদা বাড়বে।’

সরকারের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংক্রমণ বাড়লে সেই হারে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে না উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এটার কারণ হচ্ছে টিকা। অনেক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ফলে হসপিটালাইজেশন কম হবে। আমাদের টার্গেটেড আরও তিন কোটি লোক টিকা নেওয়ার বাকি আছে। ট্রান্সপোর্ট, ইন্ডাস্ট্রি, কনস্ট্রাকশন সেক্টরে বাকি আছে। তারা এগিয়ে আসেনি নেওয়ার জন্য। তাদের কিভাবে টিকা দেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা বৈঠক করেছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *