আগামী রোববার থেকে টানা ৭২ঘণ্টার হরতাল আহবান করেছে ২০ দলীয় জোট। আজ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। রোববার সারা দেশে গণমিছিল কর্মসূচি পালনের কথাও জানানো হয় বিবৃতিতে। এতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নামে আখ্যায়িত করে সরকার বিরোধী দল নিশ্চিহ্নকরণের হোলিখেলায় মেতে উঠেছে। পৃথিবীর সকল স্বৈরশাসকের মতোই আওয়ামী লীগ গণহত্যা ও জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গদি দখলকারী অবৈধ সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন অস্তিত্ব বজায় রাখতে পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে প্রিয় মাতৃভুমিকে। জনগণ নয় বরং বন্দুকের নলকেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতার উৎস মনে করছে। দেশের জনগণ আজ এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনায় জাগ্রত জনগণ গণতন্ত্র, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আজ আবারো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে জাতিকে স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্ত করতে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বেপারী আওয়ামী লীগ দেশের সকল গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে।
এদে বলা হয়, সকল নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বাজেয়াপ্তকরণ, গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ, বিচার ব্যবস্থা কুক্ষিগতকরণ, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ, ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, বিরোধী দলের প্রধান কার্যালয় তালাবদ্ধ করে, বিরোধী নেতা-কর্মীদের হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও গণহারে গ্রেপ্তার করে, মিছিল-মিটিং ও সমাবেশের অধিকার কেড়ে নেয়ার ফলে দেশে যে রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে-তাতে করে জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কঠোর কর্মসূচি পালনের কোন বিকল্প পথ খোলা নেই। তাই অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে, দেশব্যাপী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিচারবর্হির্ভুত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে, সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের কর্তৃক বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদেরকে গুম, খুন, অপহরণ, পঙ্গু ও আহত করার প্রতিবাদে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের দাবিতে বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ ও কুক্ষিগতকরণের প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে আগামী ১লা মার্চ ২০১৫ রোজ রোববার সকাল ৬টা থেকে ৪ঠা মার্চ রোজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ সর্বাত্মক হরতাল পালিত হবে। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া আগামী ১লা মার্চ সারাদেশে সকল জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও থানা পর্যায়ে এবং দেশের সকল মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
এদে বলা হয়, সকল নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বাজেয়াপ্তকরণ, গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ, বিচার ব্যবস্থা কুক্ষিগতকরণ, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ, ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, বিরোধী দলের প্রধান কার্যালয় তালাবদ্ধ করে, বিরোধী নেতা-কর্মীদের হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও গণহারে গ্রেপ্তার করে, মিছিল-মিটিং ও সমাবেশের অধিকার কেড়ে নেয়ার ফলে দেশে যে রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে-তাতে করে জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কঠোর কর্মসূচি পালনের কোন বিকল্প পথ খোলা নেই। তাই অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে, দেশব্যাপী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিচারবর্হির্ভুত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে, সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের কর্তৃক বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদেরকে গুম, খুন, অপহরণ, পঙ্গু ও আহত করার প্রতিবাদে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের দাবিতে বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ ও কুক্ষিগতকরণের প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে আগামী ১লা মার্চ ২০১৫ রোজ রোববার সকাল ৬টা থেকে ৪ঠা মার্চ রোজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ সর্বাত্মক হরতাল পালিত হবে। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া আগামী ১লা মার্চ সারাদেশে সকল জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও থানা পর্যায়ে এবং দেশের সকল মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।