বাংলাদেশে সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতারা নিরাপত্তাহীন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের হোম অফিস বাংলাদেশ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ২৬ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় গত সোমবার। এর শিরোনাম ‘কান্ট্রি ইনফরমেশন অ্যান্ড গাইডেন্স, বাংলাদেশ: অপজিশন টু দ্য গভর্নমেন্ট’। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুলিশ ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিরোধী রাজনীতিক, নারী শিক্ষা ও সহিংসতা দমনে ব্যর্থ। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে।
এক্ষেত্রে তাদেরকে দেয়া হয়েছে দায়মুক্তি। তারা স্বীকারোক্তি আদায়ে নির্যাতন করে। এছাড়া বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-ের সঙ্গেও তারা জড়িত। বাংলাদেশের কোন নাগরিক যুক্তরাজ্যে মানবিক বা রাজনৈতিক বিবেচনায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চাইলে তা কিভাবে দেখা হবেÑ এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কি কি করণীয় তা নির্ধারণ করতে ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে হোম অফিস। ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে গত বছর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরের বাংলাদেশের অবস্থা। এতে বলা হয়েছে, ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। জাতীয় সংসদে কোন আসন নেই এখন তাদের। তা সত্ত্বেও তারা এখনও প্রধান বিরোধী পক্ষ। এ বছরের ৫ই জানুয়ারি ছিল ওই নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তি। এ উপলক্ষে বিএনপি সমাবেশ আহ্বান করে। কিন্তু ঢাকায় সব ধরণের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয় থেকে বের হতে দেয়া হয় নি। এতে সৃষ্ট ঘটনায় নোয়াখালিতে দু ব্যক্তি নিহত হয়েছেন পুলিশের গুলিতে। সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অনেক মানুষ। বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের লোকজন পেট্রোল বোমাসহ ধরা পড়েছে। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নি।