করোনাকে সরকার রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকারের বিধিনিষেধ দীর্ঘকাল মানতে আমরা বাধ্য নয়। সময়ই আমাদের বলে দেবে কখন কী করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি বা বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সরকারের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কর্মসূচি হয়েছে। বিএনপির শক্তি সরকার পরিমাপ করতে পেরেছে। এ কারনেই সরকার করোনা নামক বিধি নিষেধের অস্ত্রটি ব্যবহার করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের জরিপেও ৮৮ শতাংশ মানুষ বলছে রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।’
মন্ত্রী-এমপি ও নেতাকর্মীসহ সরকারের নানা দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘হয়ত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে যাওয়ার পর্বটা শেষ হবে। তবে, কারাগার ফাঁকা থাকবে না। দুর্নীতি, সন্ত্রাসসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ক্ষমতাসীনদের কারাগারে যেতে হবে। দ্বিগুন বড় করতে হবে কারাগার।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই সরকারের জাতীয় সংসদে যারা আছেন, তাদের দেশের মানুষ ভোট চোর বলে। চোর তো চোরই। চোর কখনও সাহসী হয় না। চোরদের যারা সাহসী ভাবে তারা কাপুরুষ। আশা করি আমরা কাপুরুষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হব না।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সম্মূখভাগে যুদ্ধ করে যেমন দেশ স্বাধীন করেছেন, তেমনি যায় রক্ত যাক সকল বাধা মোকাবেল করে জনগণের অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠা করবই। আমরা যদি সরকারের নির্যাতনের কথা না ভেবে ঘুরে দাঁড়াই এই চোররা পালাবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর দেশের মানুষের ঘৃণা ও ক্ষোভ কমবে। আপনাদের দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশেই যদি থাকতে হবে সরকারে বা বিরোধী দলে যেখানে থাকেন, যাতে শান্তিতে থাকতে পারবেন এমন উদ্যোগ গ্রহন করুন। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন দিন। এতে করে দেশের মানুষের আপনাদের ওপর যত ক্ষোভ আছে, আপনাদের যতটা ঘৃণা করে তা কমে যেতে পারে।’
সংগঠনের সভাপতি মিয়া মোহা. আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জামানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।