গ্রাম বাংলা ডেস্ক: ঢাকা জেলার সাভারে ঘর থেকে বাবা ও তার তিন ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- আবু সাঈদ (৪০) এবং তার তিন ছেলে রবিউল ইসলাম (৮), মুস্তফা (৬) ও রাহাত (৪)। সাঈদের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরিপুর থানার পাঁচকুরা গ্রামে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জয়নাবাড়ী এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম জানান।
নিহতদের মুখ থেকে ফেনার মতো বেরিয়েছে জানিয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বলেন, “বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
সাঈদের স্ত্রী রেখা আক্তার বলেন, সকালে বাবার সঙ্গে তিন ছেলেকে রেখে গার্মেন্টসে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় ফিরে ঘরের দরোজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখেন।
“অনেকক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর দরোজা না খুললে স্থানীয়রা এসে দরোজা ভেঙে সাঈদ ও তার তিন ছেলের লাশ ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন।”
রেখা বলেন, “আগের রাতে গ্রাম থেকে সাঈদের ভাগ্নে বিপুল এলে তাকে আমি ঘরে থাকতে না দেয়ায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর আগেও সে বিপুলকে ঢাকায় নিয়ে এসে অন্য জায়গায় বাসা ভাড়া করে রেখেছে। এতে সাত থেকে আট হাজার টাকার দেনা হয়ে যায়। সে কারণেই বিপুলকে বাসায় তোলার ব্যাপারে আপত্তি ছিল।”
স্বামী সাঈদ স্থানীয় একটি রং কারখানায় দিনমজুরি করতেন বলে জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা দীপক বলেন, “সন্তানদের কীটনাশক পান করিয়ে হত্যার পর আবু সাঈদ নিজেও আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।”
তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে শিশু রাহাতকে খাটের উপরে এবং অন্যদের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বাড়ির মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, রেখা সাঈদের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রায় বছরখানেক আগে তারা এ বাড়িতে আসেন। তাদের মধ্যে কখনো কোন ঝগড়াঝাটি হয়নি।
তবে এক মাস আগে সাঈদের ভাগ্নে বিপুল এসে কিছুদিন থেকে ৬/৭ হাজার টাকা ঋণ করে চলে যায়। তখন একবার ঝগড়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিপুল আবারও আসলে রেখা-সাঈদের মধ্যে ঝগড়া হওয়ার শব্দ তিনি শুনেছেন।