বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করার দায় সরকারকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা। শুক্রবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তারা এ মন্তব্য করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় এতে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভূইয়া, সাংবাদিক কামাল লোহানী, লেখক ও কলামনিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রাণা দাশ গুপ্ত, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, হামিদা হোসেনসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতারা।
বক্তারা বলেন, ভাইভার, মোবাইল ফোনে কথা বললে সরকার জানতে পারে, কিন্তু গত এক বছর যাবত ফেসবুকে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনা সরকারের নজরে আসে নি তা হতে পারে না। এছাড়া যেখানে হত্যা করা হয়েছে তার চারপাশে পুলিশের অবস্থান ছিলো, ২০০ গজ দূরেই ছিলো শাহবাগ থানা। হত্যাকা-ের সময় পুলিশের কি কাজ ছিলো তার জবাব পুলিশকে দিতে হবে। গোয়েন্দাদের জবাব দিতে হবে। বক্তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। একই সঙ্গে এই হত্যাকান্ডের জন্য তারা ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ী করেন। এদিকে আজ সকালে অভিজিৎ এর বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। এসময় অজয় রায় বলেন, জামায়াতের উস্কানিতেই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে ধর্মান্ধরা। এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এদিকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের ইমরান এইচ সরকারের সর্মথকরা।
জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।