খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এক গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে সেটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তিন ধর্ষক। ধর্ষণের ওই ঘটনা কাউকে না জানাতে ওই গৃহবধূকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন দুই সপ্তাহ বন্দি করে রাখে। বুধবার রাতে পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার ও তিন ধর্ষকসহ পাঁচ জনকে আটক করে। এছাড়া ভিডিও চিত্রটিও জব্দ করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নির্যাতিতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ মেরুং ইউনিয়নের বেলছড়ি গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে থাকলেও স্বামী থাকেন ঢাকায়। ১০ই ফেব্রুয়ারি তিনি তারাবুনিয়ার ডুলুছড়ি পাহাড়ে লাকড়ি আনতে যান। নির্জনে জঙ্গলে পেয়ে একই গ্রামের মঞ্জুরুল আলম (১৮), শুক্কুর আলি (২৩) ও স্বপন মিয়া (২২) তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষকেরা ধর্ষণ ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে বিষয়টি না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। ইতিমধ্যে ভিডিওটি এলাকায় ছড়ালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকজন ঘটনাটি কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে বন্দি করে রাখে গৃহবধূকে। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর গৃহবধুর ভাই বুধবার খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানালে এলাকাবাসির সহযোগীতায় তিন ধর্ষককে আটক করে উদ্ধার করা হয় গৃহবধূকে। তার দুই ননদ জোসনা বেগম (৪০) ও হোসনেয়ারা (২৫) কেও আটক করেছে পুলিশ।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে; আটক করা হয়েছে পাঁচ জনকে। ঘটনার তদন্তে জড়িত অপরাপরদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।