দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এক্ষেত্রে অনেক সময়ই সমতা হয় না। ফলে তাতে ঝগড়া-ফ্যাসাদ লেগেই থাকে। তাতে বাড়ে সামাজিক অপরাধের মাত্রা। শারীরিক সম্পর্কের দিক দিয়ে যদি আপনি সাম্প্রতিক সময়ে বা বছরে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে এক্ষেত্রে আপনি একা নন। কিনসে ইনস্টিটিউট ২০২০ সালের এপ্রিলের একটি জরিপ পরিচালনা করে। যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৫৯ জন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির যৌন জীবন কেমন ছিল তা নিয়ে চালানো হয় এই জরিপ।
এর মধ্যে অর্ধেকের মতো মানুষ বলেছেন, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে তাদের যৌন সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। সম্প্রতি সাইকোলজি টুডে’তে ‘সেক্স অ্যান্ড সাইকোলজি’ পোডকাস্টের হোস্ট এবং যৌনতা বিষয়ক গবেষক জাস্টিন লেহমিলার লিখেছেন, যদি আপনি মনে করেন যে, আপনার সম্পর্কে ঘাটতি আছে তাহলে তারও সমাধান আছে।
এক্ষেত্রে পার্টনারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যেমন নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা নিয়ে পার্টনারের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে। শারীরিক সম্পর্কের জন্য শিডিউল টাইম ঠিক রাখতে হবে।
লেহমিলার মনে করেন, যদি উভয়ের মধ্যে কোনো একজনের আকাঙ্খা কম থাকে তাহলে তার মধ্যে সব সময় অপরাধ প্রবণতা কাজ করবে। যখন এমনটা ঘটে, তখন দম্পতিরা এ সমস্য কমই সমাধানের পথে যান।
এক্ষেত্রে লেহমিলারের পরামর্শ হলো- আপনার পার্টনারের সঙ্গে আনুষঙ্গিক বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। উভয়ের সমতা আনার জন্য চেষ্টা করতে হবে। তবে কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ, পারফরমেন্সে উদ্বেগ, পারিবারিক দায়বদ্ধতা এবং স্বাস্থ্যগত কারণে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। লেহমিলারের পরামর্শ হলো আপনার পার্টনারের সঙ্গে পরিকল্পনা করুন, যাতে হতাশা দূর হয়। যে সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে, তা চিহ্নিত করুন। এরপর সমাধানের পথে অগ্রসর হোন।