রাজধানীর হাতিরঝিলে পড়ে ছিল সাংবাদিক হাবীব রহমানের রক্তাক্ত দেহ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সেখান থেকে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হাবীবুর রহমান দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাতিরঝিল থানার এসআই এনামুল হক বলেন, হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ি প্রান্তের সিদ্দিক মাস্টারের ঢালের কাছে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে দুর্ঘটনায় পড়েন হাবীব। তার মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে ধাক্কা খেলে তিনি সড়কে আছড়ে পড়েন। পরে মাজদার রহমান নামে এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবীবের মোটরসাইকেলটি পায়। পরে ঢাকা মেডিকেল থেকে হাতিরঝিল থানাকে জানানো হয়, রাত ৪টার দিকে চিকিৎসকরা হাবীবকে মৃত ঘোষণা করেছেন। তার কাছে সময়ের আলো পত্রিকার পরিচয়পত্র ছিল।
মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মধ্যরাতে হাতিরঝিল থেকে একজন পথচারী হাবীবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই পথচারী বলেছেন, হাতিরঝিল আকিজ বিল্ডিংয়ের পাশে ফুটপাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পর পড়ে ছিলেন হাবীব। হাসপাতালে ভর্তির কিছু পরে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে হাবিবের সহকর্মী ও বন্ধুরা হাসপাতালে ছুটে আসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ২০১৩ সালে মাস্টার্স শেষ করা হাবীব একসময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও ছিলেন। রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ বিটেই তার সাংবাদিকতার শুরু। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বেশ কয়েকবার নির্বাচন করেন হাবীব। প্রথম কার্যনির্বাহী সদস্য। পরে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
হাবীব রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ পিয়ার মিয়া। ঢাকার হাতিরঝিল এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং তার দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।