ভোটের আগমুহূর্তেও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। এসব গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এছাড়া মরে গেলেও নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার।
শনিবার দুপুরে শহরের মাসদাইরে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে আমার দলের কর্মী-সমর্থকসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের হেফাজতের মামলায় ও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করছে। এভাবে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট হলে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। নির্বাচন কমিশন, ডিসি-এসপিদের নিরপেক্ষ থেকে সুষ্ঠু ভোটের আহ্বান জানান তিনি।
তৈমূর আলম খন্দকার অভিযোগ করেন, পুলিশ তার পক্ষের লোকজনের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করছে। এভাবে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হলে কীভাবে সুষ্ঠু ভোট হবে, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, যত অত্যাচার-নির্যাতন করা হবে, ততোই ভোটাররা একতাবদ্ধ হবে।
নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হবো, অবশ্যই আমরা মাঠ ছাড়বো না। নির্বাচনের মাঠে যা-ই হোক না কেন, মাঠে থাকবো। গ্রেপ্তার হলে হবো। মরে গেলেও নির্বাচন চালিয়ে যাবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তৈমূর বলেন, আমি কোন ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি না। পুলিশের আচরণকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি। প্রশাসনের আচরণকে ঝুঁকিপূর্ণ ও নির্বাচন কমিশনের আচরণকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছি।
ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং নির্বাচন কমিশন ও ডিসি-এসপিদের নিরপেক্ষ থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের দাবি জানান এই মেয়র প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালসহ দলের অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।