শ্রীপুর (গাজীপুর): গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন যুবলীগ নেতার কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাওরাইদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর থানা পুলিশ রাত পৌনে ১১টার দিকে কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসের পেছনের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। তুচ্ছ ঘটনায় এমন নৃশংস হত্যাকান্ড মানতে পারছেন না এলাকাবাসী।
নিহত নয়ন শেখ (৩০) বেলদিয়া গ্রামের আবদুল শেখের ছেলে। নয়ন কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে কাওরাইদ কে এন উচ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় দুই পক্ষের খেলোয়াড়দের মধ্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য নয়ন শেখকে জানায় দুপক্ষ। পরে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা খায়রুল মীরের ছেলে অনুভবকে (১৪) ডেকে নয়ন তার অফিস নিয়ে মারধর করেন।
নয়নের বড় ভাই রতন শেখ জানান, ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যার পর কাওরাইদ বাজারে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দেন খায়রুল মীরের কর্মীরা। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নয়নকে দলীর কার্যালয়ে ঘণ্টা খানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। একপর্যায়ে নয়নের ওপর হামলা চালান খায়রুল মীরসহ তার লোকজন। সেখান থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন নয়ন। পালানোর সময় নয়ন আওয়ামী লীগ অফিসের পাশে রেলওয়ের পুকুরে পড়ে যান। সেখানেই তাকে পিটিয় হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা খায়রুল মীরের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করা হলে অপর প্রান্ত থেকে বিপ্লব নামে একজন ফোন রিসিভ করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খায়রুল মীর কিংবা তার কোনো লোক জড়িত নন। খায়রুল নিজেই হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় সুত্রগুলো বলছে, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট তুচ্ছ ঘটনায় এমন হিংস্র কর্মকান্ড বিশ্বাস করতে পারছেন না তারা। এই ঘটনার পেছনে কোন পূর্ব শত্রুতা আছে কি না, অথবা অন্য কোন কারণ আছে কি না তা তদন্তের দাবী রাখে। সূত্র বলছে, কয়েক দিন আগে একই এলাকায় আরো একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া নিহত নয়নের বিরুদ্ধে পূর্ব থেকেই একাধিক মামলায় প্রতিপক্ষ রয়েছে। বেশ কয়েকবার নয়নের বিরুদ্ধে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। সব মিলিয়ে বিষয়টি স্পর্শকাতর মনে করে তদন্তের দাবী স্থানীয়দের।
শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলন, ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে এবং নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।