করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবে সরকার যে বিধিনিষেধ জারি করেছে সেটি বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের চলমান আন্দোলন নিয়ে অনেকেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাস্তায় নামছে। ঠিক এই মুহূর্তে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সবকিছু চলবে বাণিজ্যমেলা চলবে, দোকানপাট ব্যবসা-বাণিজ্য সব চলবে, শুধু চলবে না রাজনৈতিক সমাবেশ। আরে রাজনৈতিক সমাবেশ করে কারা বিএনপি। সুতরাং এটা প্রজ্ঞাপন জারি না।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় করোনায় আক্রান্ত বিএনপি মহাসচিব ও তার সহধর্মীনির রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘করোনা নিয়ে একটা বিষয় হচ্ছে এটা কি মারাত্মক? নিয়ন্ত্রণের বাইরে? কারণ এই সরকার করোনা নিয়ে অনেক ছলনা করেছে। যখন করোনা অতিরিক্ত তখন বলেছে কম। আর যখন কম তখন বলছে অতিরিক্ত। এটা নিয়ে এখন মানুষ বিশ্বাস করে সরকার করোনা নিয়ে রাজনীতি করছে। শুধু তাই নয় এই করোনা নিয়েও সরকার দুর্নীতি করেছে। রোগীদের সঙ্গে ছলনা করেছে। করোনার সার্টিফিকেট নিয়ে ছলনা করেছে। নেগেটিভ হলে পজিটিভ আর পজিটিভ হলে নেগেটিভ বলেছে। অনেকে বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়েছে। অনেকে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে এসেছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচন চলছে। ইউপি নির্বাচনেও মারামারি কাটাকাটি যা হওয়ার হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করার পরে এ পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে নাই। তাহলে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে এই নির্বাচন করা কি প্রযোজ্য? নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। বা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো অনুরোধ করে নাই। এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদেরকে কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘করোনার মধ্যে আমরা বিনামূল্যে অনেক কিছু দিয়েছি। অক্সিজেন, পিপিপি, মাক্সসহ অনেক কিছু দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আরও দেবো। তবে প্রজ্ঞাপন এটা শুধু বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য কিনা এ প্রশ্নের উত্তর আর কিছুদিন পরে বোঝা যাবে।’
দলের মহাসচিব ও তার স্ত্রীর আশু রোগমুক্তি কামনা করে তিনি বলেন, ‘দোয়া করি তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন।’
দোয়া মাহফিলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।