কুমিল্লা: কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের সময় প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়ায় নির্বাচন কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ওই কর্মকর্তা-এমন সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি তদন্ত করেন কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম।
এ ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে বুধবার (১২ জানুয়ারি) অভিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদীকে প্রত্যাহার করে তার স্থলে জেলার বরুড়া নির্বাচন অফিসার আজহারুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এই প্রত্যাহার আদেশ দেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম বলেন, বিল্লাল মেহেদীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার স্থলে বরুড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, ষষ্ঠ ধাপে ইউপি নির্বাচনে মুরাদনগর উপজেলায় ৩১ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে। গত ৬ জানুয়ারি ছিল প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের দিন। প্রার্থিতা বাছাইয়ের জন্য উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের বিপরীতে সাতটি বুথ তৈরি করা হয়। সেই সুবাদে হোমনা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলার যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পূর্ব ও বাঙ্গরা পশ্চিম-এই তিন ইউনিয়নের। সে সময় তিনি প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ে বাতিলের ভয় দেখিয়ে প্রার্থীপ্রতি ৫০০-১০০০ টাকা আদায় করেন।