কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের গ্রামবাসীর দুই দলের মধ্যে শহরের মনমরা এলাকায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গণমাধ্যম কর্মীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এ সময় উভয়পক্ষের দোকানপাট ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খরব পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট পুলিশের সহায়তায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মস্তোফার নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ। পরে আহতদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহতরা হলো- ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়ার জাহিদ হাসান (২০), মধ্যপাড়া বশির (৩৩), উত্তর পাড়ার পিয়াস (৩০), নাছির (৩৫) মধ্যপাড়া সজিব (৩৮) ও সিয়াম (১৬)। আহতদের মধ্যে সিয়ামকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেছে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবারুতি
ফুটবল খেলা নিয়ে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক
এলাকাবাসী জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার ছাবের আলী হাজির বাড়ি ও ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার কসাই হাটি মামুন বাচ্চু মিয়া ও হুমায়ুন এবং মানিক ছাবর আলী হাজী বাড়ির একজনকে জোরপূর্বক উঠিয়ে আনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ খবর উভয় এলাকায় ছড়িয়ে পরলে শুরু হয় উভয়পক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় উভয়পক্ষ রেললাইনের পাথর বৃষ্টির মতো নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া এক পক্ষ অপর পক্ষের দোকান ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে।
ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত ১৫
এ ব্যাপারে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা (পিপিএম) জানান, মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জেরেই এ সংঘর্ষ। বুধবার সকালেও দুপক্ষের মাঝে কথাকাটাকাটি হয় এবং একজনকে ডেকে নিয়ে মারধর করে। পরে মাগরিবের নামাজের কিছুক্ষণ আগে দু’পক্ষ মুখোমুখি হয়। এমন খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ফোর্স পাঠানো হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষেরই কয়েকজন আহত হয়েছে।