যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবদমান দু’টি গ্রুপের সহিংসতায় বোমা হামলা, গুলিবর্ষণ ও দলীয় অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় এক যুবলীগ কর্মীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য কামরুল হাসান (৩৮), কামরুল হোসেন (৩৬) ও টুটুল বিশ্বাস (৩৪)। আহতদের বাগআঁচড়া বাজারের একটি ক্লিনিক ও যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান (স্বতন্ত্র প্রার্থী) আবদুল খালেক ও নৌকার পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কবীর বকুল হামলার ঘটনায় পরস্পরকে দায়ী করছেন। শার্শা থানা পুলিশ এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গত ২৮ নভেম্বরের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থীর পরাজয়ের পর থেকে বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। গতকাল শপথের দিনেই চেয়ারম্যান খালেকের লোকজন রাতে বাগঁআচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বোমা হামলা করেন বলে অভিযোগ করেন পরাজিত চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল।
তিনি জানান, দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুরসহ বাগআঁচড়া বাজারে একাধিক জায়গায় হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্ট করে। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কবীর বকুল অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, বাগআঁচড়া বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।