আদালতে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমি অসুস্থ ব্যক্তি। আমার বয়স ৬৪ বছর। যে অভিযোগে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে আমি বলতে চাই, আমার বক্তব্য একপেশে করা হয়েছে। বাকি অংশটুকু বাদ দেয়া হয়েছে। বাকি অংশ পেলে বুঝতে পারবো, আসলে সরকার আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ এনেছে। আমাকে যদি জিজ্ঞাসাবাদই করতে হয় তবে যেন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালত যদি আমাকে ১/২ ঘণ্টা টিভিতে বলার সুযোগ দেন তবে আমি বলতে পারব আমি কি বলেছি। একজন পুলিশ কর্মকর্তা তা বুঝতে পারেন না। সেজন্য দেশবাসীর জানা উচিত আমি কি বলেছি।
মান্না বলেন, আমি গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সমর্থন করি। তবে সহিংসতা পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা সমর্থন করি না। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের কথা বলেছি তবে হত্যা বা সহিংসতার কথা বলেনি। গণতান্ত্রিক আন্দোলন বলতে যা বুঝায় তাই আমি সমর্থন করি।
যে প্রবাসীর ব্যক্তির কথা বলা হচ্ছে, সেই প্রবাসী ব্যক্তি কে সরকার তার নাম সংগ্রহ করেনি। যা একপেশে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বা বিমানবাহিনীর যে কর্মকর্তাদের কথা বলা হয়েছে তাদের নামও সরকার উল্লেখ করেনি। আসলে সবকিছুই একপেশে হয়েছে। আমি কোনো সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীর কর্মকর্তার সাথে কথা বলিনি।
তিনি বলেন, তবে গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অগণতান্ত্রিক। যা দেশী-বিদেশী সবাই জানে। এ বক্তব্য দেয়ায় ক্ষোভে দু:খে ফেটে পড়েন সরকার দলীয় আইনজীবীরা। সেজন্য তারা তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারপরও মান্না তার কথা বলা বন্ধ করেননি।
মান্না আরো বলেন, আমি সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র লিপ্ত নই। কোনো বাহিনীকে উস্কানী দেইনি। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ, শান্তির কথা বলি।
মাহমুদুর রহমান মান্নকে বেলা ৩টা ১৫ মিনিটের সময় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আদালতে গারদখানায় নিয়ে আসে। তখন আদালতে ব্যাপক সংখ্যক আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা তাকে করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানান। তারা বলতে থাকেন, মান্না তোমার ভয় নাই, আমরা আছি তোমার সাথে।
বেলা ৩ টা ১৮ মিনিটের সময কোর্ট গারদ (হাজত) থেকে আদালতে হাজির করা হলে সরকারপন্থী আইনজীবীরা তাকে বসতে দিতে রাজি ছিল না। তখন আইনজীবীরা আদালতে তার বসার বিষয়ে অনুমতি চাইলে আদালত বেঞ্চ থেকে কাঠগড়ার একটি টুল দেন বসার জন্য। তখন মান্না ওই টুলে আর বসেননি।সার্বক্ষণিক মান্না কাঠগড়ায় পাঞ্জাবী পরিহিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকেন।