বাসাইল (টাঙ্গাইল): পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের বাসাইলে নির্বাচনী সহিংসতায় পরাজিত এক প্রার্থীর সমর্থক নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহত হয়েছে সমর্থকের স্ত্রীও। নিহতের বাড়ি-ঘরসহ পার্শ্ববর্তী প্রায় ২০টি ঘর-বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রের সাহায্যে ভাংচুর এবং লুটপাটেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত ওই ব্যক্তি উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত আতোয়ার রহমানের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৫৯) এবং আহত হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী মিনু বেগম (৪৯)। তারা পরাজিত মেম্বারপ্রার্থী ফুলকী ১নং ওয়ার্ডের আব্দুল আজিজের (ফুটবল প্রতীক) সমর্থক।
নিহতের বড়ছেলে মাহমুদুল হাসান মামুন অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী জামাল উদ্দিন (মোরগ প্রতীক) এবং তার সমর্থকরা আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলো। নির্বাচনের ২/৩ দিন আগে থেকে প্রতিদিনই ওই সমর্থকরা আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে দেশীয় অস্ত্র্র নিয়ে মহড়া দিতো। নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় আমরা ফলাফলের জন্য ভোটকেন্দ্রে ছিলাম। আমার বাবা ক্লান্ত হয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
ফলাফল ঘোষণার পর জানতে পারি আমাদের প্রার্থী আব্দুল আজিজ (ফুটবল প্রতীক) এবং জামাল উদ্দিন (মোড়গ প্রতীক) উভয়েই পরাজিত হয়েছে।
জামাল উদ্দিন পরাজিত হওয়ায় তার সমর্থকরা মুহূর্তের মধ্যে আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার বাবা-মা’র উপর হামলা করে এবং আমাদের বাড়ি-ঘরসহ পাশর্^বর্তী আরো প্রায় ২০টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। তারা বাবাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি,লাথি,পায়ে পিঠে বাঁশদিয়ে প্রচুর আঘাত করে। আমার মা’কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেই এবং বাবাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। শুক্রবার (৭ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং রাত পৌনে চারটার দিকে বাবা মারা যান।
এ ব্যাপারে পরাজিত প্রার্থী জামাল উদ্দিন বাড়ি-ঘরে হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার সমর্থকরা ওই দিন বাড়ি-ঘরের বেড়া কুপিয়েছে। তবে কোন মানুষের উপর হামলা করেনি।
এ ব্যাপারে বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, ভাঙচুরের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার একটি মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।