ঢাকা: চলতি বছর পদ্মা সেতুসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মেগা প্রকল্প চালু হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২২ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক বছর।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বর্তমান সরকারের তৃতীয় বর্ষপূতি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২২ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক বছর। আর কয়েক মাস পর জুন মাসেই আমরা উদ্বোধন করতে যাচ্ছি বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু। অনেক ষড়যন্ত্রের জাল আর প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে যাচ্ছি। ’
পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে সরাসরি রাজধানীসহ অন্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করবে। আশা করা হচ্ছে, এই সেতু জিডিপি-তে ১.২ শতাংশ হারে অবদান রাখবে। ’
চলতি বছরের শেষ নাগাদ মেট্রোরেল (এমআরটি-৬) চালুর প্রস্তুতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরের শেষ নাগাদ নাগাদ আমরা উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার অংশে মেট্রোরেল চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ অংশে ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, মেট্রোরেল রাজধানী ঢাকার পরিবহন খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। ’
চলতি বছরেই কর্ণফুলি ট্যানেল চালু হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী অক্টোবর মাসে চট্টগ্রামে কর্ণফুলির নদীর তলদেশ দিয়ে চালু হবে দেশের প্রথম টানেল। ’
১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ চালু হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান।
সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক অন্য মেগা প্রকল্পগুলোর কাজও পুরোদমে এগিয়ে চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
গত ১৩ বছরে দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৩ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশ বিস্ময়কর উন্নয়ন সাধন করেছে। ’
স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সাল ছিল আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রার এক অভূতপূর্ব স্বীকৃতির বছর। গত বছর আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত যোগ্যতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে এই অর্জন বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। ’