নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়ায় ভোটে হেরে স্থানীয় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের কার্যালয়সহ বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে নুরুল আলম স্বপন নামের এক পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর থেকে দিনভর খিলপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এসব ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বুধবার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে মেম্বার পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে মো. সিরাজুল ইসলাম (মোরগ) ৬০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর আলম স্বপন (ফুটবল) পেয়েছেন ৪৯৮ ভোট।
এদিকে পরাজিত হওয়ার পর থেকে নুর আলম স্বপন তার লোকজন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ বিভিন্ন বাড়িঘর ও প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা চালান। দুপুরে তার নেতৃত্বে অমরপুর মসজিদ বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারীসহ অন্তত নয়জনকে আহত করেন।
আহতরা হলেন, নুরুল ইসলাম কিরণ (৪০), মো. লিটন (২৫), মেজবাহ (১৮), ফজলুর রহমান (৫০), মাকসুদ আলম (১৮), মেহবাজ হোসেন রবিন (২৩), জাকির হোসেন (৪০), সাকিব (১৮) ও লাকি আক্তার (৩৮)। তাদের মধ্যে নুরুল ইসলাম কিরণ ও লিটনকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ও বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে একই সন্ত্রাসীরা স্থানীয় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদে হামলা চালিয়ে তছনছ করে। এসময় চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলে ছবি ভাঙচুর করেন। এছাড়া আশপাশের বেশকয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে।
নব নির্বাচিত স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, পরাজিত মেম্বার নুরুল আলম স্বপনের নেতৃত্বে হুমায়ুন কবির, শাওন, রায়হান, হুমায়ুন, রাকিবসহ ২০-২২ জনের সন্ত্রাসীরা এ হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত নুর আলম স্বপন বলেন, ‘প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। বরং বৃহস্পতিবার রাতে আমার এক এজেন্টের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার ছেলে সজিবকে আহত করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে পরে সব কিছু জানাব।’
খিলপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘দুপুরে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’