ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পঞ্চমধাপে ইউপি পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের ছয়টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ১২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নে হেফাজতে ইসলামের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ১৪ মামলায় কারাগারে থাকা মনিরুল ইসলাম নামে ইসলামী ঐক্যজোটের এক নেতাও চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।
তিনি সদর উপজেলা ইসলামী ঐক্যাজোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার প্রতীক ছিল আনারস। তিনি ৩৯৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম পেয়েছেন ২৪৭২ ভোট।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, হেফাজত তাণ্ডবের পৃথক ১৪টি মামলার আসামি হয়ে গত বছরের ২২ জুন থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ইতোমধ্যে ১৩টি মামলায় জামিন হয়েছে মনিরুলের। তবে একটি মামলায় এখনও তার জামিন না হওয়ায় কারামুক্ত হতে পারেননি। ফলে কারাগারে বসেই ভোটে লড়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের এ নেতা। তার পক্ষে পরিবারের সদস্যরা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম সম্পাদক মুফতি এনামুল হাসান জানান, পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ইসলামী ঐক্যজোট এবং ছাত্র খেলাফতের স্থানীয় নেতারা মনিরুলের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। জনপ্রিয়তার কারণে কারগারে থেকেও বিজয়ী হয়েছেন তিনি।
এদিকে নির্বাচনের আগে কারাগারের জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছবি দিয়ে তার পক্ষে ভোট চেয়ে ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হলে তা ভাইরাল হয়।
সে পোস্টে বলা হয়, আপনার একটি ভোট মজলুমের কারামুক্ত হতে পারে। জীবনে অনেক ভোট দিয়েছেন, বেঁচে থাকলে আরও ভোট দেবেন। কিন্তু আগামীকাল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আপনার একটি ভোট নিরপরাধ মনির ভাইকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে সহায়ক হতে পারে।
তার শতবর্ষী মা ছেলের জন্য এখনো কেঁদে কেঁদে হাঁপিয়ে ওঠে। আপনারা কি পারবেন না বৃদ্ধা মায়ের চোখের জল মুছতে? আপনার ভোট হোক মা-ছেলের পুনর্মিলনের জন্য।