নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।
মান্নার স্ত্রী মেহের নিগার মঙ্গলবার বিকেলে হাইকোর্টে রিটটি করেন। পরে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচরাপতি মো.আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য আবেদন করা হয়।
তবে ওই রিটের নথি আদালতে না পৌঁছায় এ বিষয়ে কোন শুনানি হয়নি।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড.শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
রিট শুনানির বিষয়ে মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, মান্নার সন্ধান চেয়ে তার স্ত্রী হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস আওতায় হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেছেন। কিন্তু আদালতে ওই রিটের নথি এসে পৌঁছেনি। যার কারনে নথি ছাড়া শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অপরাগতা প্রকাশ করা হয়।পরে এ বিষয়ে আদালত আর কোন আদেশ দেননি।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে মান্নার পক্ষে আইনজীবী শাহদীন মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, রিটে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মান্নাকে আদলতে হাজির করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে আরও বলা হয়, আইন অনুসারে কোন ব্যক্তিকে আটক করা হলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটস্থ আদালতে হাজির করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মান্নাকে মঙ্গলবার রাতে আটক করা হলেও এখনো আদালতে হাজির করা হয়নি। এমনকি পুলিশ তাকে আটকের বিষয়টি সত্য নয় বলেও দাবি করছে।
গত রোববার ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্নার ফোনালাপের দুটি অডিও টেপ ফাঁস হয়।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ওই টেপে দুই নেতাকে বিশদ কথা বলতে শোনা যায়। কথোপকথনের একপর্যায়ে আন্দোলন বেগবান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাশকতা ঘটানো ও লাশ ফেলার বিষয়ে খোকাকে পরামর্শ দেন মান্না। এই অডিও টেপ ফাঁস হওয়ার পর এ নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় মান্নার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় জিডি করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সোমবার রাতে রাজধানীর বনানীর একটি বাসা থেকে আটক করা হয়েছে বলে তার পরিবার দাবি করেছে। তবে পুলিশ বলছে, তাকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।