কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের যশপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন হত্যা মামলার রায়ে ৩ আসামির ফাঁসি এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার ৪র্থ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ চমন চৌধুরী এ রায় প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ২রা অক্টোবর গভীর রাতে সশস্ত্র ডাকাত দল দরজা ভেঙ্গে প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেনের ঘরে ঢুকে ডাকাতি করতে থাকে। এসময় ঘুম থেকে জেগে উঠে তোফাজ্জল ডাকাতদের বাধা দেয়। এতে ডাকাতরা এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে তোফাজ্জল হোসেনকে গুরুতর জখম করে এবং পরিবারের লোকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুটে নেয়। ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে তোফাজ্জল হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া একই রাতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল একই গ্রামের মফিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, হাজী মো. সৈয়দ আলী ও মাঝিগাছা গ্রামের জাকির হোসেনের ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুটে নিয়ে যায়। ডাকাতিকালে তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকা-ের ঘটনায় তার চাচাতো ভাই হারুন রশীদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র ইন্সপেক্টর সিরাজুল হক ২০০৪ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত দায়রা জজ চমন চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার আদর্শ সদর উপজেলার যশপুর গ্রামের মৃত আলী নেওয়াজের পুত্র আবু তাহের ওরফে ছরু মিয়া, একই গ্রামের নোয়াব আলীর পুত্র আবদুস ছালাম ওরফে লিটন ও মনোহর আলীর পুত্র জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আদর্শ সদর উপজেলার যশপুর গ্রামের মফিজুল ইসলামের পুত্র মো. বাহার ওরফে রোজেন, শরাফত আলীর পুত্র মিজানুর রহমান, সীমপুর গ্রামের আবদুর রহিমের পুত্র মো. আ. মান্নান, ফজর আলীর পুত্র সাহেব আলী, ভাটপাড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামানের পুত্র আরিফুজ্জামান ওরফে ইমন। এদের মধ্যে মিজানুর রহমান, মান্নান ও সাহেব আলী পলাতক রয়েছে।