মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেলেও লকডাউনের পথে হাঁটতে চায় না ইংল্যান্ড। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন, ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের করোনার সঙ্গে বসবাসে অভ্যস্ত হতে হবে। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করা হবে একেবারে শেষ উপায়। ব্রিটিশ জনগণ চায় আমরা আমাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে যেন সঠিক সিদ্ধান্তই নিই। লকডাউন স্বাস্থ্যগত, সামাজিক ও অর্থনীতির ওপর অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি করে। তাই আমি চাই, আমরা যেন এ ভাইরাসের সাথে বসবাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারি এবং ভবিষ্যতে যেন কোনো কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিতে না হয়।’
শুক্রবার যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪৬ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। যুক্তরাজ্যে আশঙ্কাজনকহারে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। আগামী মাসে এ সংক্রমণের হার আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে নববর্ষের উদযাপনের পরিসরও সীমিত করা হয়েছে। তবে ইংল্যান্ডে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করতে চায় না সরকার। ইংল্যান্ডে বিধিনিষেধ আরোপ করা না হলেও যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলসে পানশালা, রেস্তোরাঁর মতো জনসমাগমস্থলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।