ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মেয়ের গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিকের ছেলে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বাড়ির মালিকের ছেলে ও প্রধান অভিযুক্ত জুবায়েদ হোসেন আকাশকে গ্রেপ্তার করে বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করে। ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আকাশ।
পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার নারীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, চল্লিশ বছর বয়সী ওই নারী তিন সন্তানের জননী। সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। দুই বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ায় মাস দুয়েক আগে ফের তার বিয়ে হয়। তার বর্তমান স্বামী পেশায় সিএনজি চালক।
বিয়ের পর তিনি স্বামীর সঙ্গে পৌর এলাকার দত্তপাড়ায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করেন। তাদের পাশের রুমে বসবাস করতো বাড়ির মালিক একাদুলের ছেলে আকাশ (১৯)। বাবা অন্যত্র থাকায় মাহিন্দ্রচালক আকাশ একাই সেখানে থাকে। গত রোববার রাত ১টার দিকে আকাশ ভাড়াটিয়ার ঘরের দরজা খোলার জন্য ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। দরজা খুলতেই আরও চারজনকে নিয়ে সে রুমে প্রবেশ করে। পরে দেশীয় অস্ত্র হাতে নারীর স্বামীকে ভয় দেখাতে শুরু করে। অস্ত্রধারীদের ভয়ে পালিয়ে যান ওই নারীর স্বামী। পরে ওই পাঁচ যুবক তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনা স্থানীয়দের জানিয়ে মঙ্গলবার থানায় মামলা করেন ওই নারী। এতে পাঁচজনকে আসামি করা হয়। তারা হলো- জুবায়েদ হোসেন আকাশ, আপন মিয়া, মো. জামাল মিয়া, বাবু ওরফে হাড্ডি বাবু ও মো. সোহেল মিয়া। সোহেলের পিতা ও গ্রামের পরিচয় জানা যায়নি। বাকিরা সবাই পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
নির্যাতিত ওই নারী জানান, বাড়ির মালিকের ছেলে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ডেকে তোলে। ঘরের দরজা খুলতেই অস্ত্রের মুখে তার স্বামীকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর পুরো ঘর তছনছ করে। পরে তার চার বছর বয়সী ঘুমন্ত মেয়ের গলায় ছুরি ধরে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালায় পাঁচজন। বিষয়টি কাউকে না বলতেও হুমকি দেয়া হয়। ভয়ে তার স্বামী এখনো পলাতক। তিনি ন্যায়বিচারের জন্য মামলা করেছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, পাঁচজন মিলে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে আকাশ। স্বীকারোক্তি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।