চতুর্থ ধাপের ৮৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যে ৩৮টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে কাগজের ব্যালটে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধাপের ৫৮টি জেলার ১১৮টি উপজেলায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতার শঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী অন্তত ২১ জেলার ৩৮ উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এত বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েনের পরও অনেক উপজেলায় নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দিন দিন সহিংসতার ঘটনা ও তীব্রতা দুই বেড়েছে। এর রেশ চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণের দিনে গড়াতে পারে। এর বড় কারণ হচ্ছে, এ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটকেন্দ্রের পাহারায় পুলিশ ও আনসারের ২২ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ নির্বাচনে ৯ হাজার ২২৪টি ভোটকেন্দ্র ও ৪৯ হাজার ৮৩২টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬০ জন। তাদের মধ্যে ৮২ লাখ ৫১ হাজার ২১১ জন পুরুষ ও ৮০ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৯ জন নারী। এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের একটি মোবাইল ফোর্স ও প্রতি তিন ইউনিয়নে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে।
প্রতি উপজেলায় র্যাবের দুটি মোবাইল ও একটি স্ট্রাইকিং টিম রয়েছে। একইভাবে প্রতিটি উপজেলায় দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোবাইল ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে রয়েছে। যে কোনো ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব সদস্য একযোগে কাজ করছেন। এছাড়া জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন।
জানা গেছে, এ ধাপে ভোট ছাড়াই ৪৮ চেয়ারম্যানসহ ২৯৫ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ৪৮, সংরক্ষিত সদস্য ১১২ ও সাধারণ সদস্য ১৩৫ জন রয়েছেন। বাকি পদগুলোতে আজ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ৮১৪, সাধারণ সদস্য পদে ৩০ হাজার ১০৬ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে নয় হাজার ৫১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। তবে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে না থাকলেও অনেক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।