৩০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যার পর তাদের মরদেহ পুড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছে নারী ও শিশুও। শুক্রবার দেশটির সংঘাতপ্রবণ কায়াহ রাজ্যে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড চলে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সেখানকার মানবাধিকার সংস্থা ‘কারেনি’ জানিয়েছে, শনিবার রাজ্যের হাপরুসো শহরের কাছে মোসো গ্রামে তারা ওই মরদেহগুলো দেখেছেন। এরমধ্যে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুও রয়েছে। তাদেরকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, যারা এখন ক্ষমতায় রয়েছে। এক ফেসবুক পোস্টে কারেনি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বর্বর এই হত্যাকাণ্ড মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
আমরা এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
এদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও জানিয়েছে, তারা বেশ কয়েকজন ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের’ গুলি করে হত্যা করেছে। এ কথা বলার জন্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে রয়টার্স। তবে তাৎক্ষনিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
গত ১লা ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠীকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে সশস্ত্র আন্দোলন। এরকমই একটি বাহিনী হচ্ছে কারেনি ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স। সংগঠনটি জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর গুলিতে যারা মারা গেছেন তারা কেউ তাদের সদস্য নয়। নিহতরা সকলেই সাধারণ নাগরিক। সংগঠনের এক কমান্ডার রয়টার্সকে জানান, আমরা যখন মরদেহগুলো দেখি তখন বিস্মিত হই। সেখানে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুর মরদেহ ছিল।