ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩০ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজার পর নিহতদের গণকবরে দাফন করা হয়।
ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের লাশ নিয়ে গেছেন স্বজনরা। পরে আরও পাঁচজনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৩২ লাশ বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে দুজনের লাশ শনাক্ত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, বেলা ১১টায় জানাজা শেষে বরগুনা পোটকাখালী গণকবরে ৩০ জনের দাফন সম্পন্ন হয়। যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি তাদের ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নলছিটির সুগন্ধা নদীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ১৬ জনকে। আহত হয়েছেন শতাধিক।
এদিকে, এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা প্রশাসক জহোর আলী বলেন, ‘ওই কমিটিতে আরও চারজন রয়েছেন। ইতোমধ্যে কমিটি তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। কমিটিকে লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ এবং কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে এসব জানাতে বলা হয়েছে। আর লঞ্চের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক ধারণা কতটা সত্য- তাও বের করতে বলা হয়েছে।’