ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া ২০০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়েছে। এদেরকে ঝালকাঠি ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় গত রাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দদ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানান, ঢাকা থেকে ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল এমভি অভিযান-১০ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ। ৫০০ জনেরও ৬০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক জানান, ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যাত্রীদের উদ্ধারে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। দগ্ধ যাত্রীদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. আমির হোসেন বলেন, ২০০ শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাত ৪টা থেকে হাসপাতালে আগুনে আহত শতাধিক যাত্রী এখানে ভর্তি হয়েছে। বেড সংঙ্কটের কারণে তাদের হাসপাতালের ফ্লোরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।