পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পার্টি। তবে কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি হলে বিকল্প হিসেবে কয়েকজনের নামের প্রস্তাবও জমা দেয়া হয়েছে দলটির তরফে। সোমবার বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে এই প্রস্তাব তুলে ধরেন দলটির নেতারা।
দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে সংলাপে সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা অংশ নেন।
বিকাল চারটায় এই সংলাপ শুরু হয়। সংলাপ শেষে সন্ধ্যায় জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাপার তরফে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রনয়নের প্রস্তাবে বলা হয়, সংবিধানের সপ্তম ভাগে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে উল্লেখ আছে। এখানে অনুচ্ছেদ ১১৮(১), উল্লেখ আছে “প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশে একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।
সংবিধানে আইনের দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও অদ্যাবধি নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে কোনো আইন প্রণীত হয়নি।
আমরা মনে করি, আগামীতে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে তার জন্য উপরোক্ত সংবিধানের বিধান অনুসরণে একটি আইন করা দরকার। আইনের উদ্দেশ্যে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন গঠন ও সে অনুযায়ী যোগ্য ও মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করার মাপকাঠি ও পন্থা সুনির্দিষ্ট করা।
সময় স্বল্পতার জন্য সংসদে আইন প্রণয়ন করতে সম্ভব না হয় তাহলে প্রেসিডেন্ট অধ্যাদেশ জারি করে আইনগুলো বলবৎ করতে পারেন।
জাপার পক্ষ থেকে বলা হয়, যদি কোনো কারণে অধ্যাদেশ প্রণয়ন সম্ভব না হয় এবং আগের ন্যায় সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে জাতীয় পার্টি কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। যদিও পার্টির পক্ষ থেকে এই নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।