করোনার ওমিক্রন ধরনকে বর্তমানে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মন্তব্য করেছে ৭টি উন্নত অর্থনীতির দেশের জোট জি-৭। বৃহস্পতিবার জোটের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়। জোটটি আরও বলেছে, ওমিক্রন উত্থানের অর্থ হলো দেশগুলোর জন্য ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করা আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জি-৭-এর বর্তমান সভাপতি যুক্তরাজ্য এক বিবৃতিতে বলেছে, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে জি-৭ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জি-৭ জোটের মন্ত্রীরা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, নতুন এ পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা উচিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এখন দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা ও মনিটরিং করা আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি দরকার তথ্য ভাগাভাগি করা।
এর আগে যুক্তরাজ্যের আয়োজনে জি-৭-জোটের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা একটি বৈঠক করেন। তারা এ বৈঠকে বিশ্বব্যাপী করোনার বিস্তারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ডায়াগনস্টিক, জিনোম সিকোয়েন্সিং, টিকা ও থেরাপির প্রবেশগম্যতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশ্বে করোনার ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বৃহস্পতিবার এক দিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখেছে যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে ৮৮ হাজার ৩৭৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
দেশটিতে করোনার নতুন ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, করোনার ওমিক্রন ধরন খুবই উচ্চ বৈশ্বিক ঝুঁকি তৈরি করেছে। প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ ইঙ্গিত দিচ্ছে, করোনার ওমিক্রন ধরনটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা হ্রাস করে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়। ওমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার তথ্য গত ২৪শে নভেম্বর ডব্লিউএইচওকে অবহিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওমিক্রনের অনেকগুলো ‘মিউটেশন’ হওয়ায় এ ধরনকে নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। করোনার অতিসংক্রামক ওমিক্রন ধরন ইতিমধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ডব্লিইএইচও।