ঢাকা: সেনা হস্তক্ষেপ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে মন্ত্রিসভায়।
এ কথোপকথনকে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনেকেই মান্নাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ মান্নাকে বিএনপির ‘পেইড এজেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সংবাদমাধ্যমে মাহমুদুর রহমান মান্নার দু’টি পৃথক অডিও প্রকাশ হয়।
বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা এবং অপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার কথোপকথনের ওই অডিও নিয়ে সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে সূত্র।
বৈঠকে ওই অডিও নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কেউ কেউ মান্নার আগের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও কথা বলেছেন। তারা বলেন, মান্না একেক সময় একেক দল করেছেন। কখনও জাসদ, কখনও বাসদ, এরপর আওয়ামী লীগ- এভাবে দল বদল করেছেন। তার নিজের রাজনৈতিক কোনো চরিত্র নেই।
এ নিয়ে হাস্যরসও হয় মন্ত্রিসভায়।
বিএনপির ‘পেইড এজেন্ট’ হয়ে এখন তিনি কাজ করছেন বলেও মন্ত্রিসভার সদস্যদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন।
আবার কেউ কেউ বলেছেন, মান্নার বড় ভাই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জামায়াতের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ করতেন মান্নার বড় ভাই। ঘটনাচক্রে হয়তো মান্না জাসদে যোগ দিয়েছিলেন।
মন্ত্রীদের ক্ষোভের কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কথোপকথনের যে তথ্য ফাঁস হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে, তারা একটা ষড়যন্ত্র নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। এখন আপনারাই চিন্তা করেন, ভেবে দেখেন, কী করা যায়?