মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়ার দুই পাড়ে বাড়ছে স্বজনদের ভিড়। কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে পদ্মা পাড়ের বাতাস। কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। উদ্ধার তৎপরতায় গতি বাড়াতে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ১১ সদস্যের ডুবুরি দল। লঞ্চ ও যাত্রী উদ্ধারের জন্য মাওয়া থেকে রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম।
জানা গেছে, রবিবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে এমভি মোস্তফা-৩ নামের লঞ্চটি দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। ঘাট থেকে মাঝ নদীতে গেলে এমভি নার্গিস নামে একটি কার্গো লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।
ঘটনার পরপরই বিভিন্ন লঞ্চ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদেরকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে। ফলে প্রায় শতাধিক যাত্রী সাঁতরে লঞ্চ ও নৌকায় উঠে প্রাণে বেঁচে গেছে। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় লোকজন।
উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ঘাতক কার্গোর মাস্টারসহ দুজনকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।