চুয়াডাঙ্গা:চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর লাশ পাওয়া গেল পুকুরের পানিতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিখোঁজের পর রাতে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে সুমাইয়া খাতুন মরিয়ম নামের ওই স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এ ঘটনার পর থেকে নানা রহস্য জট বেঁধেছে। তবে পরিবারের দাবি, শিশু মরিয়ম হত্যার শিকার।
মরিয়ম (৭) আলমডাঙ্গা উপজেলার মাদারহুদা গ্রামের খাইরুল ইসলমের মেয়ে ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে, নিহত মরিয়মের পিতা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে সকালে বাড়িতে খেলা করছিল। এসময় প্রতিবেশী মনিরুলের মেয়ে রিয়া আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও আমার মেয়ে বাড়িতে না ফিরলে, আমরা তাকে খুঁজতে শুরু করি। এসময় জানতে মরিয়ম আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে অবস্থিত পুকুরের পাশে খেলা করছিল। এরপর প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এলেও আমার মেয়ে নিখোঁজ থাকে। একপর্যায়ে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আমরা কয়েকজন পুকুরের পানিতে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে পুকুরের পানিতেই মেয়ের লাশ পাই। কিন্তু পুকুর থেকে মেয়ের লাশ তোলার পরে দেখি মেয়ের মেয়ের কানের সোনার দুল নেই। তখন থেকে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে কেউ আমার মেয়ের কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পানিতে ফেলে হত্যা করেনি তো?। আমি এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনে পুলিশের সহযোগিতা চাই।’
এ বিষয়ে মরিয়মকে খেলতে ডাকা অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া রিয়া খাতুনের জানতে চাইলে সে বলে, ‘আমি পুতুল খেলার জন্য মরিয়মকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু দুপুরে আমি খেলা শেষ করে বাড়ি চলে আসি। কিন্তু মরিয়ম আরো ছেলে-মেয়েদের সাথে সেখানেই খেলা করছিল। আমি চলে আসার পরে সেখানে কি হয়েছে তা আমি বলতে পারবো না।’
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কল) আনিসুজ্জামান লালন, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পুকুর থেকে একটি শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনা জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এটা হত্যা নাকি খেলতে যেয়ে অসাবধানতাবশত পানিতে পড়ে যেয়ে মৃত্যু, সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের একটি টিম এনিয়ে ইতোমধ্যে জোর তদন্তে নেমেছে।’